পটিয়া (চট্টগ্রাম)থেকে সেলিম চৌধুরী:-
চট্টগ্রামে একের পর পর ভেজাল তেল, ওষুধ, এর জমজমাট ব্যাবসা চলছে। ২৫ জুন বুধবার এমনই এক দৃশ্য বাইরে চকচকে বোতল, লেবেলে ছাপা বিএসটিআইর লোগো দেখে মনে হবে নামিদামি কোনো কোম্পানির বোতলজাত সয়াবিন তেল। কিন্তু ভেতরে রয়েছে নিম্নমানের পাম অয়েল আর মেয়াদোত্তীর্ণ সরিষার তেলের মিশেল।এমন ভেজাল তেলই সাফওয়ানও ‘রাজধানী’ ব্র্যান্ডের নামে বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি চলছিল কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটার খুইদ্দেরটেক এলাকায়।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২৫ জুন) সেখানে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ। সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনীর একটি দল ও কর্ণফুলী থানা পুলিশ।অভিযানে দেখা যায়, অনুমোদনহীন একটি গুদামে প্লাস্টিকের বোতলে ভরে ভেজাল তেল বাজারজাতের কাজ চলছিল পুরোদমে। নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র।
ফলে তাৎক্ষণিকভাবে মালিককে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ধ্বংস করা হয় ৪৫০ লিটার ভেজাল তেল এবং জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ বোতল, লেবেল ও উৎপাদন সরঞ্জাম। সুএে জানায়, দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র পটিয়া সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে ভেজাল তৈল খুচরা বাজারে বিক্রি করে আসছে। অসাধু একটি সিন্ডিকেট থানা পুলিশ ও কতিপয় সংবাদ কর্মীদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে সুএে জানায়। ঐ সুএে মতে পটিয়া বেশ কয়েকটি জায়গায় ভেজাল তেল, মশার কয়েল, গ্যাস রিপু লিং, চোরাই তৈলে ব্যাবসা জমজমাট চালিয়ে আসছে। বর্তমান অন্তবর্তিকালীন সরকার বিষয়টি নজরে এনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান সচেতন মহল।