নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝালকাঠি
জুলাইয়ের উত্তাল আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের হুমকি-ধমকি, দমন-পীড়ন কিংবা স্থানীয় প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র—কোনো কিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি ঝালকাঠি সদর উপজেলার নথুল্লাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সভাপতি সিরাজুল ইসলাম লিংকনকে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন চলাকালীন শুধু রাজপথেই নয়, রাতের আঁধারেও লিংকনকে গ্রেপ্তারের অপচেষ্টা চালানো হয়। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী নিয়মিতভাবে পুলিশকে গোপন তথ্য সরবরাহ করতেন, যেন তাকে যেকোনো মূল্যে আটক করা সম্ভব হয়।
তবুও দৃঢ় মনোবল ও আদর্শিক চেতনাকে বুকে ধারণ করে লিংকন আন্দোলনের শেষ সময় পর্যন্ত রাজপথে অটল ছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জিয়ার আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করি বলেই রাজপথ থেকে পিছু হটা আমার ধাতে নেই।”
একান্ত সাক্ষাৎকারে লিংকন আরও জানান, “জুলাই আন্দোলনে হাজারো শিক্ষার্থী, ছাত্রদল ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম বর্বরতা চালানো হয়েছে। সারাদেশে নারকীয় হত্যাজজ্ঞ চালানো হয়। আমরা শহীদ ভাইদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।”
ছাত্রদলের আন্দোলনকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাতে লিংকন নিয়মিত কাজ করে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান বাপ্পির প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনায়। আন্দোলনকালীন সময়ে বাপ্পির নেতৃত্ব ও কৌশল তাকে সঠিক পথে অবিচল থাকতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বলেও জানান লিংকন।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নথুল্লাবাদ ইউনিয়নে ছাত্রদলের কর্মকাণ্ডে লিংকনের সাহসী নেতৃত্ব ছাত্রসমাজে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়েছে।
ছাত্রদলের একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, “সেই সময় লিংকন ভাইয়ের ওপর নজরদারি ছিল ভয়ঙ্কর মাত্রায়। কিন্তু তিনি যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাতে আমাদের মনোবল আরও শক্ত হয়েছে।”
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছাত্র রাজনীতিতে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সাহসী মুখ হয়ে উঠেছেন সিরাজুল ইসলাম লিংকন। ছাত্রদলের রাজনীতিতে তিনি এখন এক উজ্জ্বল প্রতীক ও অনুপ্রেরণার নাম।